সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশির বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পড়ে রয়েছে। নিউজ চ্যানেল ২৪ এর অনুসন্ধান এ অর্থের মালিক মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। যদিও তার পরিবার এ অর্থের দাবি না করায় টাকা ফিরিয়ে আনতে সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের। গেলো বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশে আলোচনার শীর্ষে বিদেশে অর্থ পাচার। ব্যাংক পাড়া থেকে আদালত, রাজনৈতিক থেকে মুদি দোকানি, সবাই জানতে চায় কানাডার বেগম পাড়া, মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরে পাচারকারীদের নাম ও পরিচয়।
এই আলোচনা শুরুর পরই উৎসের সন্ধানে মাঠে নামে চ্যানেল ২৪। বেড়িয়ে আসে থলের বেড়ালও। অর্থপাচারকারীদের তালিকা খুঁজতে গিয়ে মিললো পিলে চমকে যাওয়া তথ্য। বেঁচে থাকতেও যে লোকটা ছিলেন আলোচনার শীর্ষে ফাঁসিতে ঝুলার পরও কিনা সেই ব্যক্তিই ফের আলোচনায়।এক দুই টাকা নয়, লক্ষ কোটিও নয় , সে কি না পাচার করেছে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। জীবদ্দশায় এই ব্যক্তিই কি না সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ। যা এখন রক্ষিত আছে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে।পাচার হওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও এই আইনি প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিদেশে পাচার করা সব টাকাই ফেরত আনার উদ্যোগের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিনও।
মুদ্রা পাচারের পরিসংখ্যান বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ২৭ লাখ ডালার পাচার হয়। বর্তমান বাজার দরে যা ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
সেই অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটা খুব কঠিন, তবে সম্ভব। এর আগে একটি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নেয়ার পর ওই ব্যক্তির নাম আলোচনায় উঠে আসে। আলোচ্য ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী তা প্রকাশ করতে রাজি হননি।