বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: লকডাউনে স্বস্তি শহরের পাড়া-মহল্লায়। এখানে নিজ নিজ এলাকায় লকডাউন করেছে নিজেরাই।অলি-গলির আড্ডাও বন্ধ।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন- সিলেট নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ইতিমধ্যে অর্ধলাখ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আরো বিতরন করা হচ্ছে। নগরের মানুষ ঘরে বসে খাবার পাওয়ার পরপর নিজেরা উদ্যোগী হয়ে সতর্ক হয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা লকডাউন করছেন। এটা ইতিবাচক দিক।
সোমবার সকাল থেকে নিজ উদ্যোগে হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার মানুষ। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাউজিং এস্টেট এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল হাসান বলেন- ‘খুব প্রয়োজন ছাড়া এলাকার কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না, কিংবা ভেতরে ঢুকছেন না।’
দুই দিন আগেই মহল্লাবাসীর উদ্যোগে লকডাউন করা হয় লামাবাজারের মনিপুরী পাড়া। দুটি প্রবেশমুখের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ জরুরী প্রয়োজনে বের হতে পারলেও ভেতরে ঢুকতে পারছেন না কেউ। পাড়ার গেটের এক পাশে লাল কালিতে লেখা রয়েছে- ‘বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন, লকডাউন’। গেটের অন্য পাশে লিখা রয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ, লকডাউন’।
এই পাড়ার বাসিন্দারা জানান- দিন দিন দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে এই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় যদি না দেশের মানুষ সচেতন হন। নিজের সুরক্ষায় ও এ পাড়ার বাসিন্দাদের করোনার হাত থেকে বাঁচাতে নিজেরাই সচেতন হয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
লালদিঘীর পাড় মণিপুরি পাড়ায় বাসিন্দারা একই ভাবে লকডাউন করেছেন। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী গেট। সেই গেটে কালো কালি দিয়ে লেখা সাইনবোর্ড। বড় করে লেখা রয়েছে ‘লকডাউন’। তারপরও যদি জরুরী প্রয়োজনে কেউ আসেন তাকে পাড়ার ভিতরে প্রবেশ করতে হয় সাবান পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মাধ্যমে হাতকে ভালো করে পরিষ্কার করে। পুরো শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করার মাধ্যমে অনুমতি মেলে ভিতরে প্রবেশে।
নিজেদের পাড়া লকডাউন করা হয়েছেশিবগঞ্জ মণিপুরি পাড়া, সুবিদ বাজারের লন্ডনী রোড, আম্বরখানা বড় বাজার মণিপুরি পাড়া, করেরপাড়া, নয়াসড়কের মিশন গল্লি বাগবাড়ি, শেখঘাট, উপশহর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, মদিনামার্কেট, শাহী ঈদগাহ সহ বিভিন্ন এলাকায়।