বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: সেপ্টেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণ কমছে সিলেটে। হাসপাতালে রোগীর চাপও কমেছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, রোগী না থাকায় ৩১ শয্যার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাদিমপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড চিকিৎসা কার্যক্রম আপতত বন্ধ রয়েছে।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতাল দু’টিতে কোন রোগী ভর্তি ছিলেন না। সিলেটের সবচেয়ে বড় কোভিড ডেডিকেটেড ১শ’ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে শনিবার বিকেল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩২ জন। এমন তথ্য জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। শনিবার যে ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তার মধ্যে ১৩ জন ছিলেন আইসিইউতে।
মধ্য জুন থেকে সিলেটে বাড়তে ছিল করোনা সংক্রমণ। জুলাই আর আগস্ট ছিল বিভিষিকাময়। আতঙ্কজাগানিয়া এ দুই মাসে প্রতিদিনই আক্রান্ত সনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার ঘটনা ঘটেছে। একদিনে আক্রান্ত সনাক্তের সংখ্যা ছুঁয়েছিল চার অংকের কোটা। ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। ওই সময় হাসপাতালে শয্যা পাওয়া ছিল রীতিমতো ভাগ্যের বিষয়। আর আইসিইউ বেড ছিল সোনার হরিণ। হাসপাতালে বেড না পেয়ে অনেক রোগী মারা যান অ্যাম্বুলেন্সে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আক্রান্ত সনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকে। একই সাথে বদলাতে থাকে হাসপাতালের চিত্র। যেসব হাসপাতালের সামনে একটি সিটের জন্য রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ভিড় থাকতো, সেসব হাসপাতাল এখন রোগীশূণ্য অবস্থায় পড়ে আছে।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, শনাক্ত হার কমায় হাসপাতালে রোগীদের চাপ কমেছে। সংক্রমন কমলেও স্বস্তিতে না ভুগে টিকাগ্রহণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।