করোনার টিকা উৎপাদনে চুক্তিবদ্ধ সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে (এসআইআই) আইনি নোটিস পাঠিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। টিকার চালান সময়মতো সরবরাহ করতে না পারায় এই নোটিস পেয়েছে সেরাম। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালা ভারতের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা আমাদের একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছে টিকা সরবরাহে দেরির কারণে। যা ভারত সরকারও জানে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, আইনি নোটিসের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারছি না, কারণ এর সঙ্গে গোপনীয়তার নীতি জড়িত। তবে সদ্ভাব বজায় রেখে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য আমরা সম্ভাব্য সব পথই বিবেচনা করে দেখছি।
তিনি জানান, অন্য দেশে টিকা রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের স্থগিতাদেশ এবং ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের ‘প্রথম দাবি’ বিষয়ক চুক্তির কারণে টিকা সরবরাহে দেরি হচ্ছে এবং বিষয়টি বিদেশিদের কাছে ব্যাখ্যা করাটাও দুরূহ, যে বাজারে তারা বেশি দামে এই টিকা বিক্রি করছেন। বিদেশে টিকা রপ্তানির চুক্তি পূরণের আইনি জটিলতা মীমাংসার চেষ্টা চলছে। সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতের বাজারে প্রথমে টিকা সরবরাহে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে সময়মতো অন্য দেশে টিকার চালান পাঠাতে পারছে না। তবে এ পর্যন্ত সবপক্ষই পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করেছে। ভারত সরকারও এই জটিলতা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সেটা পর্যালোচনা করে দেখছে।
আদর পূনাওয়ালা এনডিটিভিকে বলেন, কোভিশিল্ড উৎপাদনে সেরামের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ব এই টিকা চাচ্ছে এবং আমরা এ মুহূর্তে ভারতের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহে আমরা পিছিয়ে পড়েছি … এমনকি প্রত্যেক ভারতীয়র জন্যও টিকা নিশ্চিত করা এখনই সম্ভবপর হচ্ছে না।
সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া মাসে ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করে চলেছে। তারা এ পর্যন্ত ১০ কোটি ডোজ টিকা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে এবং ৬ কোটি ডোজ টিকা রপ্তানি করেছে বলে সেরামের প্রধান নির্বাহী জানান।