Home First Lead ৩ জেলায় চার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন

৩ জেলায় চার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন

ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও বাগেরহাটে চারটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় ২৪০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে এনার্জি রিনিউয়েবল বিডি লিমিটেড এবং পিডব্লিউআর এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৯ পয়সা হিসেবে আনুমানিক ৮ হাজার ৫৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

মন্ত্রিসভা কমিটি বিউবো কর্তৃক কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় ৩০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদনও দিয়েছে।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ডিএইচ ইউরো হাইটেক কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশি কোম্পানি নিউটেক সোলার এনার্জি বিডি লিমিটেড কনসোর্টিয়ামকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ টাকা ৩ পয়সা হিসেবে আনুমানিক ১ হাজার ৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

অন্যদিকে বিউবো কর্তৃক কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায় ৫০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে জুলস পাওয়ার লিমিটেড কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৪ পয়সা হিসেবে আনুমানিক ১ হাজার ৭৭১ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া বিউবো কর্তৃক বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে এশিয়ান ইনটেক পাওয়ার করপোরেশন এবং এক্সিয়া পাওয়ার হোল্ডিং বিভি কনসোর্টিয়ামকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৯ পয়সা হিসেবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৬৬১ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার তেল, ডাল ও গম কিনছে সরকার।

এর মধ্যে ৩৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকার গম কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৪০ কোটি ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার মসুর ডাল এবং ১৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকার ভোজ্য তেল কেনা হচ্ছে।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ইউএইর প্রতিষ্ঠান কেয়ারেল ক্রপ ট্রেডিং এলএলসির কাছ থেকে এই গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। এতে প্রতি কেজি গমের ক্রয়মূল্য পড়বে ৩৫ টাকা ১ পয়সা। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই গম কিনবে খাদ্য অধিদপ্তর।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। এই গমও খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কিনবে।