অটোয়া: নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় এই মুহূর্তে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি-ট্রুডোও আইসোলেশনে রয়েছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বেচ্ছায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে।
গত বুধবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি-ট্রুডো। দেশে ফেরার পরে ওইদিন রাতে জ্বর-সহ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ তাঁর মধ্যে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর থেকেই ট্রুডো এবং তাঁর স্ত্রী স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন। পরীক্ষার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা বাসভবনে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে ট্রুডোর শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ঘরে বসেই তিনি দৈনন্দিন সমস্ত কাজকর্ম করলেও সে ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কায় গত কয়েকদিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক রাজনৈতিক নেতা স্বেচ্ছায় নিজেদের বন্দি করার পথ বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ জন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা এবং কানাডার পাঁচ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী আছেন। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাষ্ট্রনেতা যিনি স্বেচ্ছা আইসোলেশনে গেলেন।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক