মোঃ রুবাইয়াদ ইসলাম, হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) থেকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আট শিক্ষার্থী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মনোনীত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৯’ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জন ছাত্রী ও তিন জন ছাত্র ৷
হাবিপ্রবির সংশ্লিষ্ট ডিন অফিস থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিজ নিজ অনুষদে সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী শিক্ষার্থীরা মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ পদকটির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
অনুষদগুলোর মধ্যে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত আফরিন (সিজিপিএ- ৩.৯২), ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন জাকিউল হাসান জিহাদ (সিজিপিএ ৩.৯০), মাৎস্য-বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন ফারজানা খানম (সিজিপিএ ৩.৯৬), সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বাবর আহমদ (সিজিপিএ ৩.৭৮), কৃষি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করার রেকর্ড গড়েছেন মোছাঃ অনন্যা খাতুন (সিজিপিএ- ৩.৯৬), ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফরোজা সুলতানা (সিজিপিএ ৩.৯১) এবং বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের রেকর্ড গড়েন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রিসাত হোসাইন (সিজিপিএ-৩.৯৯)।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র অনুষদ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই ব্যাচের (হাবিপ্রবির ১৪ ও ১৫ ব্যাচ) ফলাফল ২০১৯ সালে প্রকাশিত হওয়ায় প্রার্থী নির্বাচনে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদক প্রাপ্তির নীতিমালা অনুযায়ী হাবিপ্রবির ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল জান্নাতুন নূর সিজিপিএ-৩.৯১ অর্জন করে এগিয়ে রয়েছেন।
অপরদিকে, হাবিপ্রবির ১৫ ব্যাচের দুই জন শিক্ষার্থী রিয়াজ আহমেদ ও মতিউর রহমান তারেক; দুজনের সিজিপিএ একই- ৩.৮৩। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা থাকায় তিন শিক্ষার্থীর সব তথ্য ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে বলে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানা গেছে।
ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার স্বাভাবিকভাবে সব কাজে সময় বেশি লাগছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী পদকের জন্য প্রায় অধিকাংশ কাজ শেষ করেছি। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আমরা তা দ্রুতই করতে পারবো বলে আশা করছি। মূলত সব কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আমরা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দেওয়া হয়ে থাকে।