বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া: চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় গমের ফলনও হয়েছে ভালো। তবে শ্রমিক-সংকট নিরসনে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আর কৃষকের চাষ করা গম থেকে ৪৪ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মণ। ন্যূনতম ১ হাজার ১০০ টাকা মণ হিসাবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এর আগে শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খচর হতো বেশি।
এ বছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয়ও হয়েছে কম। এতে কৃষকরা খুশি।
এ বিষয়ে কামালপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, কম খরচে ও অল্প সময়ে তিন বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছি। এতে আমার সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন দৌলতপুর উপজেলার কৃষকরা।
খলিশাকুন্ডি এলাকার কৃষক আবু তাহের বলেন, ভর্তুকি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কিনে কৃষকদের গম কাটা ও মাড়াই করে এ বছর বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয়।
কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরকার থেকে ভর্তুকি পেয়ে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কিনে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বিঘা গম কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে, যা থেকে কৃষক ও মেশিন মালিক দুজনই লাভবান হয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, গম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কেনায় উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা কিনেছেন। এতে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।
তিনি আরো জানান, কৃষিনির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গম চাষ আরও বাড়বে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য কৃষি অফিস কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে।