প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট হার্ট, কিডনি ও ক্যান্সার চিকিৎসার সমন্বিত ইউনিট স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ’৯৬ পরবর্তী তাঁর সরকারের চালু করে যাওয়া সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়ত সরকারের সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘তখনকার প্রধানমন্ত্রী এগুলো বন্ধ করার সময় নিজেই বলেছিলেন এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যদি চালু থাকে তাহলে ঐ অঞ্চলের জনগণ সব নৌকায় ভোট দেবে। অর্থাৎ তাদের রাজনৈতিক স্পৃহাই বড় হয়ে যায়, মানুষের সেবাটা নয়।
তাঁর সরকারের খাদ্য, পুষ্টি ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবা উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, সাধারণ মানুষের গড় আয়ু ২০০৮ সালের ৬৬ দশমিক ৫ বছর থেকে বর্তমানে ৭২ দশমিক ৮ বছরে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা অন্তর্ভূক্ত করেছে। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ওয়েব ক্যামেরা দেয়া হয়েছে এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকের পরামর্শ যাতে নেয় যায় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রেফারেল পদ্ধতির এবং টেলি মেডিসিন সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরো ডিজিটালাইজড করার পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।
সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে নির্মিতব্য এই সমন্বিত ইউনিটের মধ্যে ক্যান্সারের জন্য ১১৫টি কিডনীর জন্য ১৬৫টি এবং হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য ১৮০টি শয্যা থাকবে। ৮ বিভাগ মিলে সর্বমোট তিন হাজার ছয়শত ৮০টি শয্যা থাকবে এবং এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার তিনশত ৮৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তৃণমূল পর্যায়ে অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সহজ লভ্য হবে, বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের প্রবণতা কমবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
খুলনা প্রান্তে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফলক উন্মোচন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিএমএ ও স্বাচিপের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
–চন্দন ভট্টাচার্য্য