Home আন্তর্জাতিক মানুষের চামড়ায় বাঁধাই বইটি সরিয়ে নিল হার্ভার্ড

মানুষের চামড়ায় বাঁধাই বইটি সরিয়ে নিল হার্ভার্ড

ছবি সংগৃহীত

বোস্টন:মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই সেই বইটি সরিয়ে নিয়েছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। বইটি ছিল ফরাসি দার্শনিক ও ঔপন্যাসিক আর্সেন হোস্যের লেখা ‘দেস দেসতিনেস দে লামে’ বা আত্মার নিয়তি। ১৮৮০ সালে বইটি লিখেন তিনি। 

জানা যায়, সেসময় তিনি বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেননি। আর্সেন হোস্যের সেই বই বিগত ৯০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে রয়েছে। গত বুধবার বইটির কভারটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মর্যাদাহানির অভিযোগ ওঠায় বইয়ের প্রচ্ছদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির দাবি, একসময় বইয়ের কভারে ব্যাপকভাবে মৃত মানুষের চামড়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। ২০১৪ সালে এক পরীক্ষায় জানা যায়, বইটিতে ব্যবহৃত চামড়াটি এক নারীর। ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কেউই তাঁর লাশ দাবি করতে আসেনি।

কতিপয় গবেষকের দাবি, যারা বই সংগ্রহ করতেন, সাধারণত তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া মানুষের চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করতেন। মূলত, মানুষ যেন বইয়ের প্রতি সম্মান দেখায়, এ কারণে এই কাজ করা হতো।

তবে অনেক গবেষকই বিষয়টিকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।  ‘দেস দেসতিনেস দে লামে’ বইটির প্রচ্ছদ নিয়ে প্রথম গবেষণা হয় ২০১৪ সালে। সে সময় গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি। তবে বইটির লেখক এই কাজ করেননি। করেছেন আর্সেন হোস্যের বন্ধু চিকিৎসক ড. লুদভিক বোল্যান্ড।

ড. বোল্যান্ডের নিজেরও বই সংগ্রহের প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনিই মূলত বইটির প্রচ্ছদ করেছিলেন এক নারীর চামড়া দিয়ে!

-সূত্র নিউইয়র্ক পোস্ট