বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মঙ্গলবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যেও পুরোদমে চালু ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। তবে, এ সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে রেশনিং করতে হয়েছে।
জানা যায়, জাতীয় গ্রিড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ যায় চট্টগ্রাম বন্দরে। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে স্থানীয় সমস্যার কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাথে সাথে বন্দরের নিজস্ব জেনারেটর চালু হয়। বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ ত্র্রুটি সারিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করে রাত ৩টার দিকে।
পচনশীল পণ্যভর্তি রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনারসমূহে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রাখতে হয়। জাহাজে কন্টেইনার ওঠানো নামানোর ক্রেনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চলে বিদ্যুতে।গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে যন্ত্রপাতি সচল রাখা হয় এবং অফিস ও বাসাবাড়ির চাহিদা মেটানো হয়। বন্দর সূত্র জানায়, তাদের ৭টি জেনারেটরের বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা ১৪ মেগাওয়াট। চাহিদা আরও বেশি। তাছাড়া, জেনারটেরগুলো একটানা ১০/১২ ঘণ্টার বেশি চালু রাখা যায় না।এ অবস্থার মধ্যে যাতে অত্যাবশ্যকীয় বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বন্দরের আবাসিক এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ রেশনিং করা হয়। তাতে দুর্ভোগে পড়েন বসবাসকারি কর্মকর্তা, কর্মচারি পরিবারগুলো।
নিজস্ব বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বাড়াতে আরও ৪টি জেনারেটর বসাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মাসের মধ্যে সেগুলো বসে যাবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।