Home চট্টগ্রাম ৩শ’ কোটি টাকার কাপড় আমদানির টার্গেট সেন্ট্রাল প্লাজার ব্যবসায়ীদের

৩শ’ কোটি টাকার কাপড় আমদানির টার্গেট সেন্ট্রাল প্লাজার ব্যবসায়ীদের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: বৈচিত্র্যময় পণ্যের সমাহারের এক মার্কেট সেন্ট্রাল প্লাজা । ১৯৮৮ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে এ মার্কেটটি। এ মার্কেটে যেসব কাপড় বিক্রি হয়, তার ৯৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে আসে। বিশেষ করে শীতের গরম পোশাক, থ্রি-পিস, থানকাপড়, জুতা, ব্যাগ, কসমেটিক্স ইত্যাদি প্রতিবছরই আমদানি করেন এ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে এ বছর ৩শ’ কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইন্ডিয়ান পণ্য ও ২৫ শতাংশ পাকিস্তানি পণ্য। দেশীয় পণ্য মানে ও গুণে ভালো না হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা কম। তাই দোকানে দেশীয় পণ্য কম তোলে। দেশীয় পণ্য মাত্র ৫ শতাংশ। প্রায় সব দোকানে ঈদের বেচাবিক্রির জন্য প্রস্তুত। অনেকেই দেশের বাইরে গেছে পণ্য আনতে। তবে ভিসা পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে, তাই অনেকে হোয়াটসঅ্যাপে পণ্যের অর্ডার করছে। ভিসার সমাধান হলে আরও অনেক ব্যবসায়ী পণ্য আনতে যাবে।

জানা যায়, তিনতলা বিশিষ্ট এই মার্কেটিতে প্রায় ২শ ১০ টি দোকান আছে। করোনার কারণে গেল বছরের ঈদের পণ্যগুলো ছাড়ের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। ঈদের জন্য লেটেস্ট মডেলের কাপড অর্ডার করা হয়েছে। সেন্ট্রাল প্লাজায় মাত্র একটা দোকান যারা অনলাইন ব্যবসা করে থাকে। তাদের ব্যবসা অনলাইন থেকে শুরু।

সেন্ট্রাল প্লাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাহী সদস্য ও ‘সুন্দরী সেলোয়ার সুট’র কর্ণধার দিদারুল আলম বলেন, ঈদের জন্য আনুমানিক ৩শ’ কোটি টাকার কাপড় আমদানির টার্গেট আমাদের। যা বিগত বছরগুলোর তুলোনায় অনেক কম। এখানকার কাস্টমারগুলো নির্দিষ্ট। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমাদের কাস্টমার। আগে মায়েরা যখন শপিং করতে আসত তখন তাদের সন্তানদের নিয়ে আসত সেই থেকে তাদের সন্তানরাও আমাদের কাস্টমার। তাই ঈদ উপলক্ষে আমরা কাস্টমার থেকে বেশি টাকা নিই না। সমিতি থেকে আমরা ব্যবসায়ীদের সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করি। তাছাড়া কিছু কিছু দোকানে নতুন কর্মচারি রাখে তাদের কোনো সমস্যা হলে তাও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি। ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে মার্কেট সাজানো হবে। আমাদের  সমিতির ১৫ জন সদস্য। রমজানের আগে আমরা প্রস্তুতি সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। মার্কেটের ভিতরে যানযট মুক্ত রাখতে আমরা ৪ থেকে ৫ জন নিরাপত্তা কর্মী রাখি। তাছাড়া সিএমপি থেকে স্পেশাল টিম দেওয়া হবে।

সেন্ট্রাল প্লাজার ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, সবাই ঈদ উপলক্ষে যে যার মত প্রস্তুতি নিচ্ছে। রমজান মাস ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসায়ীক মাস। সেই আশায় দিন গুনছি। আমাদের মার্কেটে পণ্যের যতেষ্ট মজুদ আছে। আশা করি শবেবরাত থেকে বেচাবিক্রি শুরু হবে। বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা একেবারে নেই বললে চলে। শুল্ক ছাড়া কোনো পণ্য এখানে আসতে পারে না। ১০ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য আনা হয়।

কাস্টমারের উপর নির্ভর করে আমরা পণ্য আনি। এখানে সবাই ভালো মানের পণ্য চায়। দেশীয় পণ্যের গুণগত মান ভালো না। আমাদের এখানে সবাই আগের কাস্টমার। আমাদের ব্যার্থতা আমরা নতুন কাস্টমার আনতে পারিনি। আমরা দেশিয় ব্যান্ডের পণ্য বিক্রি করি।

ঈদের জন্য অন্য মার্কেট গুলোতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে লাভবান হলেও আমরা তা পারিনা, তাই করোনার সময়কার ব্যবসায়ীক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমাদের আরও সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২ হাজার টাকার পণ্য ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি না। এখানকার কাস্টমারদের সাথে  প্রজন্ম ধরে আমাদের সম্পর্ক। তাই কাস্টমারের সাথে খারাপ ব্যবহারের প্রশ্ন উঠে না।

বর্তমান ব্যবসা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা করে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আমরা ভালো আছি।