বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
কোভিড মহামারীর জন্য রেকর্ড ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার।
গত অক্টোবরে আইফেল দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফ্রান্স তখন প্রাণঘাতী করোনার দাপট রুখতে লড়ছে। গত মাসে ফ্রান্সের অন্য বেশিরভাগ দর্শনীয় স্থানগুলি খুলে দেওয়া হলেও ‘আয়রন লেডি’ বন্ধই থাকে সংস্কারের কাজের জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম এতদিন বন্ধ রইল আইফেল।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল মাক্রঁর সরকার চলতি সপ্তাহেই দ্রুত ছড়াতে থাকা ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট বাগে আনতে নতুন নিয়মবিধি ঘোষণা করেছে। কিন্তু তার মধ্যেই জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মাক্রঁর নয়া নিয়মবিধি ঘোষণার চারদিন পর খুলছে আইফেল। করোনার চতুর্থ ঢেউ ঠেকাতে নয়া ফরাসি নিয়মবিধি অনুসারে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে। রেস্তোরাঁ ও আইফেলের মতো জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলিতে ঢুকতে গেলেও বাধ্যতামূলক ভাবে দেখাতে হবে কোভিড ১৯ পাস। বুধবার থেকে ১৮-র বেশি বয়সের সব দর্শনার্থীকে পুরোপুরি ভ্যাকসিনেশনের প্রমাণ হিসাবে পাস দেখাতে হবে, ভাইরাস টেস্টের নেগেটিভ ফল হওয়া চাই বা সম্প্রতি কোভিড ১৯ থেকে সেরে উঠেছেন, এমন প্রমাণ দিতে হবে।
দূরত্ববিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে জোর দিতে দৈনিক দর্শনার্থী সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১০ হাজারে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। একটি সূত্রে অবশ্য প্রতিদিন ১৩ হাজার লোক ঢুকতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বে সুরক্ষাবিধি খতিয়ে দেখে ঘোষণা করা হয়, ‘লেডি প্রস্তুত।’
চলতি গ্রীষ্মেই ফ্রান্স দর্শনার্থীদের জন্য দরজা খুলে দেয়। কিন্তু তাঁরা কোন দেশ থেকে আসছেন, সেই মাপকাঠিতে বিধিনিষেধের ফারাক হচ্ছে। লাগাতার সীমান্তে বিধিনিষেধ, ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ের ফলে দর্শনার্থী সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ে যা থাকে, তার ধারেকাছে নেই এখন।
প্যারিস শহর কর্তৃপক্ষের তরফে এই সুউচ্চ টাওয়ারের দেখভাল পরিচালনা করে একটি বেসরকারি কোম্পানি। দীর্ঘদিন আইফেল বন্ধ থাকায় তারা সঙ্কটে পড়েছিল। ফরাসি সরকারের কাছে বাড়তি ত্রাণ, সাহায্য চাইবে তারা।