বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকেই এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে।
বুধবার (৯ জুন) ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দ্য আফটারমান্থ অব দ্য কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ-চীন ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) সইয়ের বিষয়ে যৌথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এমওইউ সই হয়েছে। ইতোমধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গত বছরের বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। বাংলাদেশ এসময় চীনে রফতানি করেছে শূন্য দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে চীন থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। চীনের দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর চেষ্টা চালাছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) এর গবেষণা পরিচালক ড. আব্দুল রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ইআরএফ ’র সভাপতি শারমিন রিনভী, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ড শাহ মো. সুলতান উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বক্তৃতা করেন।- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি