বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কোম্পানীগঞ্জঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। এসময় বের হওয়া একটি মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করলে ১২জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে মিছিলে লাঠিপেটা করে।
মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশের মারমুখি আচরণ করে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ১২জন নেতাকর্মী আহত হন এবং কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্ছি মাসুদ, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থক।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা হাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বসুরহাট রুপালি চত্বর থেকে থানার দিকে যায়। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় কাদের মির্জার।
একপর্যায়ে কাদের মির্জা মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পেছন থেকে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং লাঠিপেটা করে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন। পরে দলীয় ও পরিবারের লোকজন তাঁকে সেখান থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার দিকে হামলা করতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থাকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখি আচরণ করেন। একপর্যায়ে কাদের মির্জা সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে ঢুকে পড়তে উদ্যত হলে পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কাদের মির্জা থানার সামনে সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন।